গরমে বেড়ানোর জায়গা বেছেনিন, পাহাড় ও জঙ্গল মিলে সেরা ৯টি

গরমে বেড়ানোর জায়গা বেছেনিন সেরা ৯টি পাহাড় ও জঙ্গল মিলে

গরমে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়, এনিয়ে চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক কারণ এপ্রিল শুরু হতে না হতেই গরমে হাঁসফাস অবস্থা সাথে আবহাওয়া দফতরের আগামী কয়েক মাসের ভবিষ্যতবাণী খুব স্বস্তিদায়ক নয়। তাই আমাদের সবারই মন নিশ্চয়ই চাইছে এই গরম থেকে একটু আরাম পেতে কোথাও কয়েক দিন সবাই মিলে ঘুরে আসতে। আসুন তবে প্রথমে ঠিক করা যাক কোথায় যাব অর্থাৎ গন্তব্য, তারপর ভাবতে হবে ঘোরার মোট খরচ যতটা সম্ভব কিভাবে কমের মধ্যে রাখা যায়। আমাদের সবার সাধ্য এক রকম নয় তাই আমরা একটু মিলিয়ে মিশিয়ে গরমে বেড়ানোর জায়গার একটা লিস্ট তৈরি করব।

কিভাবে গরমকালে বেড়ানোর জায়গা নির্বাচন করবেন

আমরা সবাই জানি বেড়াতে যাওয়ার খরচের মূল অংশ দুটি গাড়িভাড়া আর থাকা-খাওয়া। এরমধ্যে গাড়ি ভাড়া প্রসঙ্গে বলতে হয় গন্তব্য যদি কাছে বা দূরে, যাতায়াত ট্রেনে কি বিমানে বা বাস বা অন্য গাড়ি অনুযায়ী খরচ বাড়ে বা কমে। দূরত্ব কলকাতা থেকে দার্জিলিং, দারিঙবাড়ি বা উটি যাতায়াতের খরচের তফাত বেশ অনেকটাই আবার ঐ তিন জায়গার থাকা-খাওয়ার খরচের বেশ তফাত রয়েছে। আরও একটা বিষয় হল জায়গার ধরণ যেমন ধরুন গরমকালে কোনো হিল স্টেশনে না গিয়ে যদি কাছাকাছি কোনো জঙ্গলে বা রিজার্ভ ফরেস্টে যেতে পারেন। সত্যই বলতে কি জঙ্গলে তুলনায় গরম কম লাগে।

গরমে বেড়ানোর জায়গা : সেরা 9 টি


1. দার্জিলিং

দার্জিলিং
Picture credit: worldatlas.com

বাঙালির প্রিয় হিল স্টেশন পাহাড়ের রানি দার্জিলিং। সেখানেই কিছুদিনের জন্য ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন‌ এই ভ্যাপসা গরমে। এই শহরের যে জিনিসটি সবচেয়ে পছন্দের তা হল এখানকার টয় ট্রেন। শুধু তাই নয়, এই শৈল শহরের ম্যালে ভ্রমণ, চায়ের কাপে চুমুক, টাইগার হিলের উপর সূর্যোদয় এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শনও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দার্জিলিং যাওয়ার জন্য খুব বেশি খরচেরও আশঙ্কা নেই। ফলে সস্তায় বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি হবে।

কিভাবে যাবেন দার্জিলিং:

সমতল থেকে ট্রেনে সরাসরি দার্জিলিং পৌছান যায় না। আপনি ট্রেনে বা বাসে নিউজলপাইগুড়ি পর্যন্ত আসতে হবে। আর নিউজলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি বা ছোট বাস ইত্যাদি নিয়ে দার্জিলিং বা অন্য পাহাড়ি গন্তব্যে পৌছাতে হবে।

  • বিমান – কাছাকাছি বিমানবন্দর হল বাগডোগরা – তারপর সড়ক পথে দার্জিলিং
  • ট্রেন – শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন রয়েছে নিউ-জলপাইগুড়ি পর্যন্ত। নিউ-জলপাইগুড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি বা বাস আপনাকে পৌঁছে দেবে আপনার গন্তব্যে।

আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের সেরা 10 টি জায়গা অবশ্যই মিস করবেন না

2. সিকিম

সিকিম
Picture credit: krishnandusarkar.com

গরমের ছুটি কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের সবচেয়ে সুন্দর এবং সাশ্রয়ী পর্যটন অঞ্চল সিকিম থেকে। আপনার শরীর ও মন দুইই চাঙ্গা হয়ে উঠবে সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক পৌঁছালে। সিকিম যদিও রাজ্যের আয়তন হিসাবে বেশ ছোট কিন্তু পুরো রাজ্যটাই ভ্রমনযোগ্য। একটা তিন কি চার দিনের ছুটিতে সিকিমের, উত্তর, পূর্ব এবং পশ্চিম দিকের যেকোন একটি দিকে ঘোরাই সুবিধাজনক । আর যেদিকেই যান গ্যাংটক যাত্রা শুরু করার সোপান হিসাবে সঠিক জায়গা। সিকিমে সারা বছরই বেড়াতে যাওয়া যায়। এখানে তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব যথেষ্ট। এখানে হিমালয়ের সৌন্দর্য অসাধারণ। মহামহিম কাঞ্চনজঙ্ঘা এখানেই অবস্থান করেন। এখানকার স্থানীয় খাবারের স্বাদ বেশ ভাল।

কিভাবে যাবেন সিকিম:

  • বিমানে: গ্যাংটকের কাছে সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দর পাকইয়োং বিমানবন্দর চালু হয়েছে যা সবচেয়ে নিকটবর্তী।
  • ট্রেনে: গ্যাংটকের নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হল শিলিগুড়িতে অবস্থিত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন।
  • সড়ক পথে: শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং শহর থেকে ট্যাক্সি করে গ্যাংটক পৌছানো যায়।

আরও পড়ুন: উত্তর সিকিম ভ্রমণের বিশদ তথ্য সমেত

3. নৈনিতাল

f 2Nainital
Picture credit: treebo.com

নৈনিতাল, উত্তরখণ্ডের কুমায়ুন বিভাগের নৈনিতাল জেলার সদর শহর। এটি নৈনি লেকের উপত্যকায় এক দারুন সুন্দর হিল স্টেশন। এখানকার বরফাবৃত নন্দা দেবী, ত্রিশূল এবং নন্দা কোট পর্বতচূড়াগুলি দৃশ্যাবলি এককথায় অসাধারণ। সবাইকে নিয়ে গরমের ছুটি কাটানোর এক আদর্শ জায়গা। এখানে অনেক বেড়ানো জায়গা রয়েছে। ঘুরে আসতে পারেন নৈনি লেক থেকে, সেখানে বোটিং করতে পারেন। কাছাকাছি চলে যেতে পারেন নয়না দেবী মন্দিরেও। নৈনিতাল এবং তার কাছা কাছি এলাকা দর্শন করতে আপনার তিন দিন সময় লাগবে।

কীভাবে যাবেন নৈনিতাল:

  • বিমান: উধম সিং নগর জেলায় পন্থনগর, নিকটতম বিমানবন্দর।
  • ট্রেন: হাওড়া থেকে সরাসরি ট্রেনের মধ্যে প্রতিদিন পাবেন হাওড়া-কাঠগোদাম বাঘ এক্সপ্রেস ।
  • বাসে: রামনগর থেকে নৈনিতালের দূরত্ব মাত্র ৬৪ কিমি। এক থেকে দেড় ঘণ্টা অন্তর কালাধুঙ্গি হয়ে নৈনিতাল যাবার বাস ছাড়ছে। সময় লাগে সাড়ে ৩ ঘান্টা।

4. মাউন্ট আবু

মাউন্ট আবু
Picture credit: audleytravel.com

একে গরম তাতে আবার রাজস্থান? শুনলেই হয়ত আঁতকে উঠবেন অনেকে। কিন্তু এই রাজস্থানেই রয়েছে এমন এক জায়গা যেখানে গেলে শরীর মন দুটোই ভাল হয়ে যাবে। রাজস্থানের একমাত্র পাহাড় এই মাউন্ট আবু যেন একটা মরুদ্যান। আরাবল্লী পাহাড়ের ঠান্ডা হাওয়া গরমের ছুটি মাতিয়ে দেবে। মরুরাজ্য রাজস্থানের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ গুরু শিখর। আরাবল্লি পর্বতমালার অন্তর্গত এই শৈলচূড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭২২ মিটার। ট্রেকিং ভালবাসলে এই বর্ষায় সবুজে মোড়া এ পাকদণ্ডি পথ আপনার। পাহাড়ের উপরে বিষ্ণু উপাসক দত্তাত্রেয় মুনির গুহা দেখতে ভুলবেন না।

কী কী দেখবেন: নাক্কি লেকে বোট রাইড, মাউন্ট আবুর সানসেট পয়েন্ট, বিশ্ববিখ্যাত দিলওয়ারা মন্দির, গুরু শিখর

কিভাবে যাবেন মাউন্ট আবু:

  • আবু রোড হল নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন, মাউন্ট আবু থেকে 28 কিমি দূরে, এখান থেকে আপনি বাস বা যেকোনো ট্যাক্সিতে যেতে পারেন।
  • আপনি যদি আকাশপথে ভ্রমণ করতে চান তাহলে উদয়পুর হল নিকটতম বিমানবন্দর, অথবা আপনি আহমেদাবাদকেও বেছে নিতে পারেন যেখানে আরও ভাল সংযোগ রয়েছে। সেখান থেকে যেকোনো ট্যাক্সি বুক করতে পারবেন।

5. কাজিরাঙা

কাজিরাঙা
Picture credit: abhibus.com

অসমের কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান দেশ তথা বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত অভয়ারণ্য। এখানে আছে বিরল প্রজাতীর এক শিং গণ্ডার। UNESCO তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এটি। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ঘনত্ব এই অরণ্যে সবচেয়ে বেশি। গণ্ডার বা বাঘ ছাড়াও এখানে প্রচুর হাতি, বন্য জল মহিষ, বারশৃঙ্গার, ভারতীয় বাইসন, সম্বর হরিণ, মায়া হরিণ, বন্য শূকর এবং প্যারা হরিণ পাওয়া যায়। এখানে একই সঙ্গে দেখতে পেতে পারেন চিতাবাঘ এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। কাজিরাঙায় তিনটি রেঞ্জে মূলত সাফারি হয়। বাগরি, কোহরা ও অগরাতলি। দুপুর ২টো থেকে জিপ সাফারি হয়। তখনই পর দিন ভোরের হাতি সাফারির বুকিং সেরে নিন। কাজিরাঙায় হাতি আর জিপের রাস্তা পৃথক। ঘোরার রোমাঞ্চও ভিন্ন।

কিভাবে যাবেন কাজিরাঙা:

  • বিমান: নিকটতম বিমানবন্দর গুয়াহাটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
  • ট্রেন: নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন হেলেম এবং ফুরকাটিং জংশন।
  • বাস: কাজিরাঙায় যাওয়ার জন্য গুয়াহাটি থেকে উজান অসমগামী বাস, ট্রাভেলার ছাড়ে খানাপাড়া থেকে। গুয়াহাটি থেকে কাজিরাঙার দূরত্ব ঘণ্টা চারেক।

6. ঋষিকেশ

ঋষিকেশ
Picture credit: chardhamtour.in

গরমে একটু শীতলতার স্পর্শ পাওয়া, সাথে পাহাড়ের বুকে অ্যাডভেঞ্চার খুঁজতে চাইলে ঋষিকেশের চেয়ে ভাল জায়গা আর হয় না। উত্তরাখণ্ডের এই প্রান্তে গঙ্গা নদী একেবারে স্বচ্ছ, বেশ শান্ত ও নির্মল জলরাশিতে পূর্ণ। এখানে পাহাড়ি নদীর ধারাও দেখার মতো। এদেশে খুব কম জায়গাতে এত ভাল জলক্রীড়ার বন্দোবস্ত আছে।

কী কী দেখবেন: পাহাড়ের কোলে বাঞ্জি জাম্পিং, নদীর ধারে ক্যাম্পিং, যোগা রিট্রিট, গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যারতি

কিভাবে যাবেন ঋষিকেশ:

  • আকাশ পথে: নিকটতম বিমানবন্দর হল দেরাদুনের জলি গ্রান্ট বিমানবন্দর, যা ঋষিকেশ থেকে আনুমানিক 35 কিলোমিটার দূরে। সেখান থেকে ঋষিকেশ পৌঁছানোর জন্য ট্যাক্সি বা বাস নিতে পারেন।
  • ট্রেনে: ঋষিকেশের রেলওয়ে স্টেশন আছে, কিন্তু এটি সীমিত সংযোগ সহ একটি ছোট স্টেশন। নিকটতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন হরিদ্বার – সেখান থেকে 25 কিলোমিটার দূরে ঋষিকেশে পৌঁছানোর জন্য লোকাল ট্রেনে বা ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন।
  • সড়ক পথে: ঋষিকেশ সড়কপথে সু-সংযুক্ত, এবং আপনি সেখানে বাস, গাড়ি বা মোটরসাইকেলে পৌঁছাতে পারেন। আপনি NH58 ধরে বাস বা ড্রাইভ করতে পারেন।

7. লাদাখ

লাদাখ
Picture credit: incredibleindia.org

গরমের ছুটিতে লাদাখ থেকে ঘুরে আসতে পারলে আর কী চাই! সারা দেশ যখন গরমে হাঁসফাঁস করছে তখন লাদাখের কোথাও কোথাও উঁকি দেয় বরফ। যদিও খুব উঁচুতে না গেলে মে-জুন মাসে লাদাখে বরফের দেখা মেলে না। তবে আবহাওয়া মনোরম থাকে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবু বলতেই হয় যে, লাদাখ ভ্রমণ যদিও জীবনের সর্বোত্তম ভ্রমণগুলির মধ্যে উপরের দিকে থাকে, কিন্তু সব বয়সের সঙ্গী-সাথী নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। লাদাখ আসলে একটি ঠান্ডা মরুপ্রায় অঞ্চল। চারিদিকে উঁচু পাহাড়, শীতল মরুভূমি, মেঘহীন নীল আকাশ, সবুজ উপত্যকা, বরফাবৃত পর্বত শৃঙ্গ, জনমনবহীন দিগন্ত সব মিলিয়ে লাদাখ প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি ।

কী কী দেখবেন লাদাখে: লাদাখের পাথুরে রাস্তায় বাইক রাইড, নীল প্যাংগং লেক, নুব্রা উপত্যকায় বালির মাঝে উটের পিঠে চড়ে ভ্রমণ

কিভাবে যাবেন লাদাখ:

কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লি সেখান থেকে লাদাখ দুটি দিক থেকে যাওয়া যায়। একটি শ্রীনগর হয়ে, অপরটি মানালি হয়ে। বিমানে শ্রীনগর হয়ে গেলে লেহ তাড়াতাড়ি পৌছানো যায় তাড়াতাড়ি কিন্তু খরচ একটু বেশি পড়ে আর সিমলা-মানালি হয়ে গেলে একটু সময় লাগলেও অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যা হয়ত আপনার দেখা জীবনের সেরা হতে পারে।

8. শিমলা

শিমলা

গোটা উত্তর ভারতের সেরা জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য অবশ্যই শিমলা। হিমাচল প্রদেশের এই রাজধানীতে যেন রূপের ডালি একেবারে উপুড় করে দিয়েছে প্রকৃতি। ব্রিটিশ আমলে শিমলা ভারতের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শহর হিসাবে বিখ্যাত ছিল। পাহাড়ের কোলে সবুজ আর ধাপে ধাপে নিখুঁতভাবে গড়া কাঠের বাড়িঘর- সবটা মিলিয়েই সুন্দরী শিমলা গরমে ছোট্ট এই পাহাড়ি শহরের মনোরম আবহাওয়া সমস্ত ধরনের পর্যটক আকর্ষণ করে। শিমলায় গেলে জমে যাবে গরমের ছুটি।

কী কী দেখবেন: শিমলার ম্যাল রোড, শিমলা থেকে জখু পাহাড়, হনুমানজির মন্দির দর্শন, ভাইরেগাল লজ বা রাষ্ট্রপতি নিবাস, আন্নাদালেতে পোলো খেলা।

কিভাবে যাবেন শিমলা:

সবথেকে ভাল হাওড়া থেকে কালকা স্টেশনে নেমে টয় ট্রেনে শিমলা অথবা বিমানে দিল্লি, দিল্লি থেকে ভলভো বাসে বা হিমাচল ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের বাসে শিমলা পৌছে যান।

9. তাওয়াং

তাওয়াং
Picture credit: ffo.gov.in

অরুণাচলের প্রশাসনিক সদর শহর তাওয়াং-এ গেলে মনে হবে যেন তিব্বতে বেড়াতে এসেছেন। তাওয়াং মনাস্ট্রি, জশবন্ত গড়, জং জলপ্রপাত, সঙ্গেতসর হ্রদ, তাোয়াং ওয়ার মেমরিয়াল ঘুরে নিতে পারেন। তাওয়াং মঠ, গোল্ডেন নামগ্যাল লাটসে নামেও পরিচিত। এটি ভারতের বৃহত্তম মঠ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মঠ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,০০০ ফিট উচ্চতায় এই মঠটি অবস্থিত। এখানকার প্রধান আকর্ষণ মণ্ডলা ওয়াল ম্যুরাল, বৌদ্ধ থাঙ্কাস, চিটেনপার পায়ের ছাপ এবং দুখাং-এ বুদ্ধ মূর্তি। নিকটতম বিমানবন্দর হল তেজপুরের সালোনিবাড়ি বিমানবন্দর। এবং নিকটতম রেলওয়ে স্টেশনটি হল রাঙ্গাপাড়া এবং তেজপুর।

কিভাবে যাবেন তাওয়াং:

  • বিমানে: গুয়াহাটি বা তেজপুর সর্বাপেক্ষা নিকতের বিমানবন্দর – সেখান থেকে গাড়িতে তাওয়াং।
  • ট্রেনে: তেজপুর রেলওয়ে স্টেশন তাওয়াং-এর নিকটতম স্টেশন। স্টেশন থেকে, পর্যটকদের শহরে পৌঁছানোর জন্য ট্যাক্সি বা বাসের মাধ্যমে আরও 340 কিমি ভ্রমণ করতে হবে। কাছাড় এক্সপ্রেস, বারাক ভ্যালি এক্সপ্রেস, এবং অরুণাচল এক্সপ্রেস হল তিনটি জনপ্রিয় ট্রেন যেগুলিতে পৌঁছানোর জন্য কেউ রিজার্ভেশন করতে পারে।
  • সড়কপথে: সড়কপথে ভ্রমণ একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং স্মরণীয় উপায় যে কোনো স্থানকে পরিপূর্ণভাবে ঘুরে দেখার। রাস্তাগুলি আপনাকে স্থানের মূলে নিয়ে যায় এবং এটি আশেপাশের স্পটগুলিও। যদি আপনি অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এ একটি সড়ক ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তাহলে আপনি হয় আন্তঃরাজ্য পর্যটন বাস বা আপনার ব্যক্তিগত গাড়িতে ভ্রমণ করতে পারেন।

Leave a Comment