দার্জিলিং জেলার দর্শনীয় স্থান, সেরা 7টি জানুন ভ্রমন করুন

দার্জিলিং জেলার দর্শনীয় স্থান

দার্জিলিং জেলার দর্শনীয় স্থান বলতে গেলে সমগ্র জেলাকেই বলতে হয়। দার্জিলিং শহরকে সারা দেশই “পাহাড়ের রানি” বলেই জানি। তবে দার্জিলিং শহর ছাড়াও এই ছোট্ট জেলার মধ্যে অসংখ্য সুন্দর ভ্রমন গন্তব্য রয়েছে যেমন, কার্শিয়ং, মিরিক, লেপচাজগত, তিঞ্চুলে, সুখিয়াপোখরি, লামাহাট্টা, মানেভঞ্জন, সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি স্থানগুলি পশ্চিমবঙ্গের ভ্রমন মানচিত্রে একেবারে উপরের দিকে স্থান পায়। দার্জিলিং জেলার ভ্রমন সংক্রান্ত কাঠামো গড়া শুরু হয় ব্রিটিশ রাজত্বের প্রথম দিক থেকেই। আমরা এখানে দার্জিলিং জেলার জনপ্রিয় কয়েকটি জায়গা সম্বন্ধে আলোচনা করব।

দার্জিলিং জেলার দর্শনীয় স্থান কোনগুলি?

1. দার্জিলিং ( Darjeeling Town )

দার্জিলিং
Picture credit : holidify.com

দার্জিলিং নামটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই যে ছবিটা আমাদের মনে প্রকট হয় তা হল মেঘের কোলে ভেসে বেড়ান একটা ছোট্ট বসতি। আসলে এটাই “পাহাড়ের রানী” দার্জিলিং শহর, দার্জিলিং জেলার প্রান। বাঙালি মাত্রেই তাদের ভ্রমণের তালিকা শুরু হয় দার্জিলিং দিয়েই। দার্জিলিং তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ চা বাগান, হিমালয়ান রেলওয়ের জন্য সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। বর্তমানে শুধু বাঙালিই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা সারা বছর থাকে এই শৈল শহরটিতে। আমি বলি, যাদের এখনও কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য বা টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখার সময় বা সুযোগ হয়ে ওঠেনি, আপনারা জীবনে একবার হলেও এই নৈসর্গিক সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে অবশ্যই আসুন এই হিল স্টেশনটিতে।

দার্জিলিং শহরের প্রাণকেন্দ্র হল এর চৌরাস্তা মল। এখানে খোলা আকাশের নিচে বসে গরম চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া সঙ্গে আড্ডা এক দারুন অভিজ্ঞতা। চৌরাস্তা মল থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে টয় ট্রেনের জন্য ১৯১৯ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি আঁকাবাঁকা রেলপথ, বাতাসিয়া লুপ এবং আর একটু এগিয়ে ঘুম ষ্টেশন যা কিনা ভারতের সর্বোচ্চ রেলওয়ে স্টেশন।

দার্জিলিং এ আর কি দেখতে পারেনঃ

2. মিরিক

মিরিক
Photo credit : Shubh.ch1994, CC BY-SA 4.0 via wikicommons

দার্জিলিঙের মিরিক একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। খাড়াও রাস্তা, এইদিকে চা বাগান ও লম্বা সেগুন গাছ আর প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ মিরিক পর্বতপ্রেমীদের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। শহরের দূষণযুক্ত পরিবেশ থেকে বের হয়ে চলে আসুন পাহাড়ের বুকে।

মিরিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ। মিরিক নামটি এসেছে লেপচা কথা মির-ইওক থেকে যার অর্থ “অগ্নিদগ্ধ স্থান”। এখানকার জলবায়ু সারাবছরই মনোরম থাকে তবে গ্রীষ্ম কলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০° সেলসিয়াস এবং শীতে সর্বোনিম্ন ১° সেলসিয়াস।

এছাড়াও মিরিকে কমলালেবু বাগান ও চা বাগান দেখতে পাওয়া যায়। শুধু পরিবেশের সঙ্গেই নয় আপনি এখানকার জনসাধারণের মধ্যেও খুব ভালোভাবে মিশে যেতে পারবেন। প্রকৃতির মাঝে কিছুদিন নিঃশ্বাস নিয়ে আবার নতুনভাবে নিজের পুরনো জীবনে ফিরে যাওয়ার উদ্যম পাবেন।

আরও কি কি দেখবেন মিরিকে?

  • সুমেন্দু হ্রদ (মিরিক হ্রদ)। এটি মিরিকের একটি হ্রদ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১/২ কিলোমিটার। হ্রদের ধারে পাইন গাছের ঘন বন রয়েছে। হ্রদ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এই লেকটির উপর একটি ৮০ ফুট দীর্ঘ সাঁকো রয়েছে। লেকের জলে নৌকাবিহার এবং টাট্টু ঘোড়ায় চেপে লেকের চারপাশ প্রদক্ষিণ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • বোকার মঠ, মিরিক সর্বোচ্চ বিন্দু হল বোকার মঠ। এটি প্রায় ৫,৮০০ ফুট উঁচুতে।
  • রামিতে দারা ভিউ পয়েন্ট, ভিউ পয়েন্ট যেখান থেকে চারপাশের পাহাড় ও বিস্তর্ণ সমভূমি অঞ্চল দেখতে পাওয়া যায়।
  • ডন বসকো চার্চঃ এটি দার্জিলিং জেলার অন্যতম সুন্দর এবং বড় ক্যাথলিক চার্চ।

3. লেপচাজগৎ

লেপচাজগৎ
Picture credit : insidedarjeeling.com

লেপচাজগৎ দার্জিলিং শহর এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার মধ্যবর্তি অঞ্চলে একটি শান্ত ছবির মত গ্রাম। একসময় এটি স্থানীয় লেপচাদের গ্রাম ছিল মাত্র। জায়গাটি পাইন, স্প্রুস ইত্যাদি লম্বা খাড়াই গাছে ঘেরা কুয়াশাচ্ছন্ন একটি অঞ্চল। আর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যই এই গ্রামটিকে একটা স্বপ্নের গন্তব্য করেছে। একেবারে ভোরের আকাশে যখন লাল-হলুদ রঙ ধরে সেখানথেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য আপনাকে বাকরুদ্ধ করবেই।

আবার পাহাড়ের এ দিকে দাওয়াইপানি আর উল্টো দিকের পাহাড়ে দার্জিলিং শহর। রাত হতেই আলোর মালায় রোজ সেজে উঠে দার্জিলিং শহরটা। মনে হবে যেন অসংখ্য জোনাকি ধিকিধিকি করে জ্বলছে। সে এক অবাক হওয়া যা ভাষায় প্রকাশ করা দুরহ। লেপচাজগৎ এ আপনি হিমালয়ান সালাম্যান্ডার বা ওয়ারব্লার, মিনলা, সিবিয়ার মতো পাখি দেখতে পাবেন।

লেপচাজগৎ-এর কিছু সেরা দেখার জায়গা:

  • কুয়াশায় ঢাকা জঙ্গল
  • সূর্যোদয় পয়েন্ট
  • রাতের দার্জিলিং শহর

4. সেবক

সেবক
Picture credit : shiliguri.com

সেবক দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ির কাছে একটি ছোটো শহর। এটি সিকিম রাজ্যের সীমান্তের কাছেকাছি অবস্থিত। ডুয়ার্সে তিস্তা নদীর তীরে এই শহরটি অবস্থিত এবং এর উপরে দুটি সেতু রয়েছে – যথা করোনেশন ব্রিজ এবং সেবক রেলওয়ে সেতু। ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা ও বিএসএফ ক্যাম্প রয়েছে। মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এখানেই রয়েছে। এই অভয়ারন্যে বানর, হাতি, চিতাবাঘ এবং দাগযুক্ত হরিণের মতো অনেক বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত এই মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে।

সেবক স্থানীয় লোকজনের কাছে সবচেয়ে পছন্দের পিকনিক স্পট। সেবকেশ্বরী কালী মন্দির এখানকার সবচেয়ে শ্রদ্ধার মন্দির। সেবক ঘোরার সবচেয়ে ভাল সময় হল সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী বলাযায়। তবে দুর্গাপূজা এবং কালী পূজার সময় যখন বড় অনুষ্ঠান হয় এখানকার মন্দিরগুলোয়।

সেবক-এর কিছু ভাল দেখার জায়গা:

  • সেবকেশ্বরী কালী মন্দির
  • করোনেশন ব্রিজ
  • সবুজ বনভূমি

5. তিনচুলে

তিনচুলে
Picture credit : telegraphidia.com

তিনচুলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ছয় হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই গ্রাম রয়েছে কালিম্পংয়ের দিকে চেয়ে। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা তো দাঁড়িয়েই রয়েছে এই গ্রামগুলিকে দেখাশোনার জন্য। এই গ্রামে যদি আপনি একবার গিয়ে পৌঁছান, তাহলে আপনার চোখে শুধু ধরা দেবে সবুজ প্রান্তর। কারণ ছোট ছোট তিনটি পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা এই পাহাড়ি গ্রাম। আর তিনটি পাহাড় নাকি দেখতে অনেকটা চুল্লির মত, আর সেই কারণেই এই গ্রামের নাম তিনচুলে। এই গ্রামের মূল আকর্ষণ হল অর্কিডের বাগান। তাছাড়াও রয়েছে একটি প্রাচীন মনেস্ট্রি আর ছয়টি চা বাগান।

এই গ্রামে আপনার ঘুম ভাঙতে পারে পাখির কলরবে। আর সারাদিন এখানে আনাগোনা রয়েছে মেঘেদের। মেঘ, পাহাড়, বন আর নদী এই চারটের মিলিত শব্দ সারাদিনই আপনার কানকে ব্যস্ত করে রাখতে পারে। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি কিংবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি করে সোজা চলে যেতেন পারেন এই অফবিটে।

6. কার্শিয়াং

কার্শিয়াং
Picture credit : darjeelingdays.com

কার্শিয়াং একটি সুন্দর ছোট্ট শহর যেটি দার্জিলিং শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। কার্শিয়াং সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৪৯০০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। একটি লেপচা শব্দ “খারসাং” থেকে এই এলাকার এমন নামের উৎপত্তি। সেই খারসাং শব্দের অর্থ ‘সাদা অর্কিডের ভূমি’। ১৮৩৫ সালে সিকিমের চোগিয়াল রাজবংশের হাত থেকে কার্শিয়াং নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ইংরেজ। ১৮৮০ সাল থেকে এই স্থান পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বিশেষ করে বাঙালিদের অত্যন্ত প্রিয় এই পার্বত্য শহরের নাম।

কার্শিয়াং এ আরও কিছু দর্শনীয় স্থান

  • সালামান্দার লেক এই এলাকার প্রধান দ্রষ্টব্য। অপূর্ব প্রাকৃতিক জলাধারটি কার্শিয়াং শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। যেখানে নানা প্রজাতির মাছ ও সরীসৃপের দেখা মেলে। বোটিং এই লেকের অন্যতম আকর্ষণ।
  • ডাউ হিল কার্শিয়াংয়ের অন্যতম আকর্ষণ বলা চলে। মূল শহর থেকে ৫.২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই এলাকায় রয়েছে একটি হরিণ পার্ক, বন জাদুঘর এবং ছোট ইকো পার্ক।
  • কার্শিয়াংয়ের অদূরে অবস্থিত এই ভিউ পয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতা ও সমতলের ঘনত্ব একসঙ্গে অনুভব করা যায়। মেঘে ঢাকা সবুজ পাহাড় আদ্ভুত লাগবে।
  • মংপুতে পাহাড়ের এক কোণায় এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলো আজও পর্যটকদের টানে। যদিও ওই প্রাচীন স্থানটির অবস্থিতি কালিম্পিংয়ে। মংপু বাঙালি পর্যটকদের বিশেষভাবে টানে।

7. লামাহাট্টা

লামাহাট্টা
লামাহাট্টা ইকোপার্ক

লামাহাট্টা বা স্থানীয় উচ্চারণ-এ “লামাট্টা” দার্জিলিং এর চাকচিক্য থেকে অনেক দূরে শেরপাদের একটি গ্রাম। এন.জে.পি থেকে গাড়িতে তিন থেকে চার ঘন্টার রাস্তা হলেও এখানে পৌঁছানোর পর সকল ক্লান্তি একনিমেষে উধাও হয়ে যাবে এখানকার সৌন্দর্যে আর সরল গ্রামবাসীর আপ্যায়নে। গ্রামের প্রথমেই চোখে পরবে এক অনুপম ইকোপার্ক।

ইকো পার্কের ভিতরে নানান গাছগাছালি ও অসংখ্য ফুলের সমারোহে পরিপুর্ন । বিশাল উঁচু পাইন গাছগুলি দম্ভেরসাথে আকাশ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর তাদের সাথেই পাল্লাদিয়ে পতপত্ করে দলছে নানা রঙের কাপড়ের পতাকা, স্থানীয় লোকেদের বিশ্বাস, এই পতাকার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত বাতাসে চারপাশের পরিবেশ ও মানুষের মন পবিত্র হয়। বাগানের একবারে উপরে যাওয়ার জন্য জঙ্গল কেটে আঁকাবাঁকা রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। পাহাড়ি রাস্তায় ট্রেকের অ্যাডভেঞ্চারের লোভ সামলানো দায়। চূড়ায় পৌঁছে দেখতে পাবেন সুন্দর একটি লেক যেটা গ্রামবাসিদের কাছে খুব পবিত্র।

লামাহাট্টার কাছাকাছি আর কি দেখবেন?

  • ডানডা মাত্র ৩ কিমি লামাহাট্টা থেকে। এখানে একটি ‘হিল টপ ওল্ড ফোর্ট’ রয়েছে।
  • পেশক ভিউ পয়েন্ট লামাহাট্টা থেকে মাত্র ৬ কিমির মধ্যে।
  • লামাহাট্টা থেকে একটু ট্রেক করে গেলেই রয়েছে ‘ডেন্স ধুপি প্ল্যানটেশন‘।
  • তাকদা এ অর্কিড সেন্টার, টি-এস্টেট, বরবাটে হেরিটেজ ঝুলন্ত ব্রিজ দেখার মতোই।

কিছু সতর্কতা ও পরামর্শ

  • গাড়ি ভাড়া করার আগে ভাল করে জিজ্ঞেস করে নিন, কোন কোন স্থান তারা দেখাবে। ওদের তালিকায় বেশ কিছু পয়েন্ট ধরা থাকে। অনেকক্ষেত্রেই কিন্তু কোন দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকলে বাইরে থেকে দেখিয়ে সেটাকে তারা গুনতির মধ্যে ধরে। তাই আগে থেকে কথা বলে নেওয়া ভালো।
  • টাইগার হিলে শীতের জামাকাপড় বেশি করে পরবেন। এখানে সাধারনত ঠান্ডা একটু বেশীই থাকে।
  • বর্ষাকালে দার্জিলিং এ ধ্বস নামে তাই বর্ষাকাল এড়ানোই ভালো
  • চা বাগানে এসে এর সৌন্দর্য্য নিন, চা পাতা ছিঁড়ে বাগান নষ্ট করবেন না।
  • দার্জিলিং মোড় থেকে হোটেল অবধি গাড়িভাড়া স্টেশন থেকে নেওয়া গাড়ির তুলনায় কম। তবে দার্জিলিং মোড়ে বিকেল ৪টে অবধি গাড়ি পাওয়া যায়। স্টেশন থেকে সবসময় গাড়ি পাওয়া যায়।
  • টয় ট্রেনে জয় রাইড অবশ্যই করবেন। তবে টয় ট্রেন চেপে স্টেশন থেকে আসবার দরকার নেই, প্রচুর সময় লাগে।

কিছু জিজ্ঞাসা যেগুলি পরবর্তীতে আমরা পেয়েছি নিচে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

দার্জিলিং ভ্রমণের উপযুক্ত সময়?

মার্চ থেকে জুন সবেথেকে ভাল সময় তবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর একটা আলাদা মজা আছে যদি বরফ পছন্দ হয়।

দার্জিলিং এ কি বিশেষ খাবার পাওয়া যায়?

দার্জিলিংয়ের বেশ জনপ্রিয় একটি খবর হল থুকপা। এটি আসলে একটি গরম-নুডল স্যুপ। থুকপা তৈরি হয় নানারকমের সবজি, কিছু প্রথাগত মশলা দিয়ে। থুকপা আসলে একটি তিব্বতী খবর কিন্তু এটি দার্জিলিংয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দার্জিলিংয়ে সর্বত্র পাওয়া যায়।

দার্জিলিং জেলার সদর শহর এর নাম কি?

দার্জিলিং শহরই এই জেলার সদর শহর ।

দার্জিলিং ঘুরতে কত দিন লাগে?

দার্জিলিং শহর বা শৈলবাস বেড়াতে মোটামুটি ৩ দিন যথেষ্ঠ তবে পুরো দার্জিলিং জেলা ঘুরতে অন্তত ৫ দিন লাগবে।

কলকাতা থেকে দার্জিলিং ভ্রমণ খরচ?

ট্রেনে যাতায়াত সহ ৫ দিনের ভ্রমণে ২ জনের খরচ ৩০,০০০/- টাকা পড়ে। তবে সবেথেকে ভাল হয় ৬ জনের দল হলে পাহাড়ে ঘোরার গাড়ি ভাড়ায় বেশ সাশ্রয় হয়।

Leave a Comment