লাক্ষাদ্বীপ কেরালার উপকূল থেকে দূরে আরব সাগরের মাঝে অত্যন্ত সুন্দর কয়েকটি দ্বীপের সমষ্টি। লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ বহু পর্যটকের স্বপ্ন আর সেজন্য তথ্য সমৃদ্ধ এই লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ গাইড উপস্থাপনা। লাক্ষাদ্বীপ ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যার রাজধানী হল কাভারাত্তি। এটি ভারতের মূল ভূ-খণ্ড থেকে ২০০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত একটি দ্বীপপুঞ্জ। লাক্ষাদ্বীপের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল নীল সমুদ্র আর সমুদ্রতট। তবে পর্যটকদের আনাগোনা এখানে প্রধানত কোরাল রিফকে কেন্দ্র করেই হয়। স্ফটিক স্বচ্ছ নীল জলের সমুদ্র সঙ্গে সযত্নে রক্ষিত প্রবাল সহ নানা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও নৈসর্গিক প্রকৃতি পর্যটকদের আকর্ষণ করে এই দ্বীপপুঞ্জে।
ছোট মাঝারী মিলিয়ে ৩৬ টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গড়া এই লাক্ষাদ্বীপ যার সম্মিলিত ভূমির পরিমাণ কেবল ৩২ বর্গকিলোমিটার। এই ৩৬ টির মধ্যে কেবল ১০ বা ১২ টি দ্বীপে জনবসটি আছে। তারমধ্যে মাত্র ৬টি দ্বীপে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি হেওয়া হয়, এগুলি হলো – মিনিকয়, বাঙ্গারাম, আগাত্তি, কালপেনি, কদমত, কাভারত্তি। এই দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে বড়টি হল মিনিকয় দ্বীপ যার আয়তন কেবল ৪.৫ বর্গকিলোমিটার। এখানকার একমাত্র বিমানবন্দর হল আগাত্তি (আগাত্তি দ্বীপ) তবে এখানকার শিক্ষিতের হার শতকরা ৯০ ভাগ! ভাষা-মালায়লাম, হিন্দী এবং ইংরেজী। তবে দেশী বিদেশী ট্যুরিস্টদের কল্যাণে লাক্ষাদীপের মোটামুটি সবাই ইংরাজিতে কথা বলতে পারে।
লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ সেরা সময়
লক্ষদ্বীপের জলবায়ু সারা বছরই প্রায় একই রকম থাকে। বছরের যেকোনো সময় লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করতে পারেন তবে সেরা সময় হবে অক্টোবর থেকে মে মাসে। শীতল এবং তাজা ঠান্ডা হওয়া আপনার ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করে তোলে। এই দ্বীপগুলিতে সাঁতার, স্কুবা ডাইভিং, স্নরকেলিং, সার্ফিং এবং আরও অনেকের মতো অনেক উত্তেজনাপূর্ণ এবং দুঃসাহসিক জলক্রীড়া করা যায়। যদিও এখানে শীত বা গ্রীষ্ম ততটা প্রখর নয় তবু প্রধানত তিনটি ঋতুর ধারনা দেওয়া হল নিচে:
- শীতকাল: শীতের ঠান্ডা পরিবেশ এই সুন্দর জায়গাটি উপভোগ করার জন্য আদর্শ সময়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা সাধারণত ২০ °C থেকে ৩২°C পর্যন্ত হয়ে থাকে। শীতল বাতাস এবং মনোরম সমুদ্রের জল আপনাকে এখানে দীর্ঘ সময় থাকার জন্য আকৃষ্ট করে তাই শীতকাল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করার সেরা সময়।
- গ্রীষ্মকাল: গ্রীষ্মকালে (মার্চ থেকে মে) তাপমাত্রা ২২°C থেকে ৩৬°C পর্যন্ত থাকে। এই সময়ে তাপমাত্রা হালকা গরম তাই জলক্রীড়ার জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। প্রকৃতপক্ষে, এই সময়কাল সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রমের জন্য অনুকূল। সুতরাং গ্রীষ্মকালে আপনি লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করতেই পারেন।
- বর্ষাকাল: জুন থেকে আগস্ট মাসে, ভারী বৃষ্টিপাত হয়, বাতাসের প্রবল দাপট লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জে সাধারণ ব্যাপার। বর্ষায় আবহাওয়া মনোরম হয় এবং সবুজ গাছপালার জন্য এটি সেরা সময় বিবেচিত হয়। তাই প্রকৃতি প্রেমী এবং ফটোগ্রাফাররা বর্ষাকালে লাক্ষাদ্বীপের আকর্ষণীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা পছন্দ করেন।
লাক্ষাদ্বীপ কিভাবে যাবেন
লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করার সবথেকে সোজা পথ হল কেরালার এর্নাকুলাম পর্যন্ত ট্রেনে, গাড়িতে বা বিমানে যেতে হবে। এর্নাকুলাম বা কোচি থেকে লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি হল বিমানে আর দ্বিতীয়টি সমুদ্রপথ।
- আকাশপথে গেলে লাক্ষাদ্বীপের আগাত্তি দ্বীপে আগাত্তি বিমানবন্দরে যেতে হয়। কোচি বিমানবন্দর থেকে আগাত্তিতে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি ফ্লাইট রয়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার মধ্যে কোচি থেকে আগত্তিতে পৌঁছনো যায়। কোচি থেকে বিমান ভাড়া জন প্রতি আসা যাওয়া ৮৫০০ টাকা। কোচির বিমানবন্দর থেকে লাক্ষাদ্বীপের আগাত্তি, সপ্তাহে ৬টি ফ্লাইট চলে এয়ার ইন্ডিয়ার।
- সমুদ্রপথে গেলে শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কোচি থেকে ফেরি পরিষেবার অনেকগুলি বিকল্প রয়েছে। জাহাজে লাক্ষাদ্বীপে পৌঁছতে ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে। বর্তমানে ৭টি জাহাজ চলাচল করছে। প্রতিটির জাহাজের ও তাদের শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া আলাদা। তবে এদের প্যাকেজ ট্যুর গুলি বেশিরভাগ ৪রাত- ৫দিনের হয়। জাহাজগুলি কোচি থেকে দুপুরে ছেড়ে পরদিন ভোরে মিনিকয় দ্বীপে পৌছায় তারপর সারা দিন ঐ দ্বীপে ঘোরা এবং পরদিন আর এক দ্বীপে, এভাবে ৫ম দিনে আবার কোচিতে । প্যাকেজগুলি মোটামুটি মাথাপিছু ২৫ থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে পড়ে (বিভিন্ন জলক্রীড়া ইত্যাদি খরচ আলাদা )। জাহাজে লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ সবথেকে সাশ্রয়ী ।
লাক্ষাদ্বীপ ঘোরার বাজেট সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে পর্যটক কতদিন ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, কী ধরনের ভ্রমণ প্যাকেজ নিতে চান এবং সেখানে গিয়ে কী কী অ্যাডভেঞ্চারমূলক কার্যকলাপ করতে চান উপর নির্ভর করে।
পারমিট ইত্যাদি
দেশের অংশ হলেও লাক্ষাদ্বীপ যাওয়ার জন্য বিশেষ পারমিটের প্রয়োজন হয়। এই তথ্য সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তবে চিন্তা নেই, লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করার পারমিটের আবেদন করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না, বাড়িতে বসেই এই পারমিটের আবেদন করতে পারেন। ই-পারমিট পেতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন: https://epermit.utl.gov.in
লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের জন্য ২০০ টাকা পারমিট ফি জমা দিতে হবে। ৫ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা এবং ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা পারমিট ফি জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: কলকাতার কাছাকাছি সমুদ্র সৈকতগুলি
কোথায় থাকবেন লাক্ষাদ্বীপে
লাক্ষাদ্বীপ অনেক দ্বীপে রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা করে। থাকার জন্য লাক্ষাদ্বীপ দ্বীপপুঞ্জের সেরা রিসর্টগুলি হল বাঙ্গারাম দ্বীপ, কদমত দ্বীপ, কাভারত্তি দ্বীপ এবং মিনিকয় দ্বীপ। এই দ্বীপপুঞ্জে এই রিসোর্ট এবং হোটেল ছাড়াও, জনবসতিহীন দ্বীপ থিন্নাকারা দ্বীপে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র শুরু এবং সমুদ্রের সাথে একা একটি দ্বীপে রাত কাটানো একটি অনন্য অভিজ্ঞতা এবং অনেক জায়গাই আপনাকে এই সুযোগ দেয় না। এই লাক্ষাদ্বীপ পর্যটন হোটেল, রিসর্ট এবং তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা সহজ কিন্তু আরামদায়ক। এই হোটেলগুলিতে পরিবেশিত খাবারও সাধারণ তবে সুন্দর। লাক্ষাদ্বীপে মাথাপিছু মিডিয়াম স্টান্ডার্ড হোটেল বা রেস্ট হাউজ ভাড়া এবং খাওয়া নিয়ে দৈনিক ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা পড়বে। নিচে কয়েকটি হোটেল বা রিসোর্টের খরচের অনুমান দেওয়া হল:
থাকার জায়গা | নূন্যতম ভাড়া |
হোয়াইট পড়ল বীচ হোটেল | ৫৬০০/- টাকা |
আগাত্তি আইল্যান্ড বীচ রিসর্ট | ৫৫০০/- টাকা |
কদমত বীচ রিসর্ট | ৪০০০/- টাকা |
কোরাল বীচ রিসর্ট | ৩০০০/- টাকা |
মিনিকয় আইল্যান্ড বীচ রিসর্ট | ৩৫০০/- টাকা |
বাঙ্গারাম আইল্যান্ড রিসর্ট | ৫০০০/- টাকা |
কয়েকটি বড় দ্বীপ ভ্রমণ অবশ্যই করুন
এখন, কিছু দ্বীপ-হপিং জাদু দিয়ে জিনিসগুলিকে দেখে নেওয়া যাক। কাভারত্তি, প্রাণবন্ত চেতনাময়; বাঙ্গারাম, তার শান্ত সৌন্দর্যের সাথে; কালপেনী, ইতিহাস ও রহস্যময় দ্বীপগুলি আপনার অন্বেষণের অপেক্ষায়।
আগাত্তি দ্বীপ
বিমানে লাক্ষাদ্বীপের প্রবেশদ্বার বলা যেতে পারে এই আগাত্তি দ্বীপকে। কারণ লাক্ষাদ্বীপের একমাত্র বিমানবন্দর এখানেই রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর লেগুনগুলোর মধ্যে একটি বলা যায় এই আগাত্তি দ্বীপকে। এখানে সুইমিং, স্নরকেলিং, কায়াকিংয়ের মতো ওয়াটার স্পোর্টস করার সুযোগ রয়েছে। আগাত্তি থেকে কাভারত্তি দ্বীপ যাওয়ার জন্য হেলিকপ্টার সার্ভিসও রয়েছে। তবে এই দ্বীপে ঘুরে দেখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছথেকে নির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হয়। তবে আগাত্তি দ্বীপে প্রবেশের জন্য কোনও ফি নেই।
কাভারাত্তি দ্বীপ
লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসনিক কার্যালয় রয়েছে কাভারাত্তিতে। এই সুন্দর লেগুনটি পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার স্থানীয় বাজার, মেরিন অ্যাকোরিয়াম, উজরা মসজিদ ইত্যাদি ঘুরে দেখতে পারেন এখানে।
কদমত দ্বীপ
কদমত দ্বীপটি এলাচ দ্বীপ নামেও পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য মাত্র ৯.৩ কিলোমিটার। দ্বীপের একমাত্র জনবসতিপূর্ণ গ্রাম হল কদমত। পর্যটকরা এখানে মাঝে মধ্যেই ভিড় জমান। দ্বীপের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হল মাছ ধরা। এখানে এসে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি গ্রামের মানুষের সঙ্গে দেদার আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এখানকার প্রধান আকর্ষণ হল কায়াকিং, স্বরকেলিং এবং স্কুবা ডাইভিং।
মিনিকয় দ্বীপ
অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জ থেকে মিনিকয় একটু দূরে। বলা যায় মূল অঞ্চল থেকে একটু বিচ্ছিন্ন এই মিনিকয় দ্বীপ। উত্তর দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত মিনিকয়। এটাও লাক্ষাদ্বীপের অন্যতম বড় লেগুন। মিনিকয়ের ১০০ ভাগ অধিবাসী শিক্ষিত। পর্যটকদের জন্য প্রচুর জলক্রীড়ার বন্দোবস্ত করা রয়েছে এখানে।
কালপেনি দ্বীপ
স্বচ্ছ নীল জলের সঙ্গে নীল আকাশ মিলে যে দীগন্ত তৈরি করে তা লাক্ষাদ্বীপের প্রকৃতির আশীর্বাদ। এই দ্বীপপুঞ্জেও আপনি সুইমিং, স্বরকেলিং, জেটস্কি ইত্যাদি ওয়াটার স্পোর্টস করতে পারবেন।
বাঙ্গারাম দ্বীপ
এক ফোঁটা জলের আকৃতির মত বাঙ্গারাম দ্বীপপুঞ্জ পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। আগাত্তির খুব কাছেই অবস্থিত এই বাঙ্গারাম দ্বীপ। ফসফোরেসেন্ট ব্লাঙ্কটনের জন্য বাঙ্গারাম দ্বীপ আসেন পর্যটকেরা। অর্থাৎ এই সৈকত রাতে নীলাভ হয়ে ওঠে প্রবাল বালির কারণে। এশিয়ান ডলফিন, ফ্রগফিশ, অক্টোপাস দেখতে হলে সেরা জায়গা হল বাঙ্গারাম দ্বীপ। লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জে বেড়ানোর সময় বাঙ্গরাম দ্বীপ দেখতে ভুলবেন না।
উপসংহার
লাক্ষাদ্বীপ হল একটি লুকানো রত্ন, যা এই মুক্তোর মত দ্বীপগুলির অস্পর্শিত সৌন্দর্যে ভ্রমণের আকর্ষণ জাগায়। অমলিন সমুদ্র সৈকত থেকে প্রাণবন্ত জলের নীচের বিশ্ব, সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে সুস্বাদু খাবার পর্যন্ত, লাক্ষাদ্বীপের প্রতিটি দিকই মনোমুগ্ধকর। আপনি অ্যাডভেঞ্চার, প্রশান্তি বা প্রকৃতির সাথে সত্যিকারের সংযোগ, যাই খুঁজুন না কেন, লাক্ষাদ্বীপে এ সবই রয়েছে। এই সুন্দর স্বর্গের মত জায়গায় যাত্রা করার সময় বাকি পৃথিবী থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন এবং নিজের অন্তরাত্মার সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করুন।
সুতরাং আপনি যখন লাক্ষাদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন, মনে রাখবেন আপনি কেবল ছুটিতে যাত্রা করছেন না; আপনি সৌন্দর্য, দুঃসাহসিকতা এবং প্রশান্তির গল্পে পা রাখছেন। দ্বীপগুলো শুধু একটি গন্তব্য নয়; এগুলি একটি আখ্যান যা আপনি বালুকাময় তীরে রেখে যাওয়া পদচিহ্ন দ্বারা লেখার অপেক্ষায়। লাক্ষাদ্বীপ ইশারা করে, অভিজ্ঞতার একটি ক্যানভাস যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত জাদুর স্ট্রোক আর প্রতিটি স্মৃতি একটি সম্পদ। আপনার উদ্যম, কৌতূহল এবং সাহসের একটি অংশ প্যাক করুন; আপনার লাক্ষাদ্বীপের গল্প শুরু হোক!
প্রতীক দত্তগুপ্ত, থাকেন কলকাতায়, কাজ বাদে বেড়ানোই যার প্রথম ভালবাসা। এই কয়েক বছর হল বেড়ানোর সাথে কলমও ধরেছেন । তিনি শুধুমাত্র যে জায়গাগুলি পরিদর্শন করেছেন সেগুলি সম্পর্কেই ব্লগ করেন না, তবে তিনি তার অনুগামীদের জন্য টিপস, কৌশল এবং নির্দেশিকাগুলি সম্পর্কেও পোস্ট করেন৷